আলোচিত একরামুল ‘হত্যা’: মিডিয়াকে দুষে যা বললেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম

র‍্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল নিহত হওয়ার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।একরামুল হককে ‘মাদক চক্রের হোতা’ বানানের পেছনে গণমাধ্যমের দায় রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।গত ২৬ মে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত একরামুল আদৌ মাদক কারবারে জড়িত কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে ঘটনার পরপর।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখা এক খোলা চিঠিতে লেখেন, একরামুলের বিরুদ্ধে মাদকের একটি মামলা হয়েছির ২০০৮ সালে। কিন্তু সেই মামলাটি একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার ঈর্ষা থেকে করা হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণ হয়।একরামুলের আর্থিক অসঙ্গতির বিষয়টিও তার ইয়াবা চক্রের হোতার পরিচয়কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।

একরামুল নিহতের পর এই বিষয়টি উঠে আসলেও কথিত গোয়েন্দা তথ্যে গত পাঁচ বছর ধরেই তার বিরুদ্ধে হওয়া নানা প্রতিবেদনের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব।একরামুল প্রসঙ্গে ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়ায় খোকন বলেন, ‘অভিযোগ ছিল মাদক ব্যবসার। কিন্তু এই একরামকে সামাজিকভাবে নাই করা হয়েছে আরও পাঁচ বছর আগে। তাকে মাদক সম্রাট বানিয়েছিল আমাদের মিডিয়া ‘
‘দিনের পর দিন রিপোর্ট বানানো হয়েছে একরামকে নিয়ে। সামাজিকভাবে তাকে মারা হয়েছে অনেক আগেই। একরামের অপরাধ ছিল একটাই, সে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিল।’

গণমাধ্যমের এই ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতা’ এখনও চলছে বলে মনে করেন খোকন। লেখেন, ‘শুধু রাজনৈতিক কারণে অনেককে বানানো হচ্ছে মাদক সম্রাট, তথ্য প্রমাণ ছাড়া সামাজিকভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে অনেককেই। মিডিয়ার এই অসুস্থ প্রক্রিয়া বন্ধ হোক….. তাহলে আমাদের অনেকের কান্নারও অবসান ঘটবে।”

একরামুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তারের প্রকাশ করা হৃদয় বিদারক অডিও রেকর্ডটি শুনে রাতে ঘুমাতে পারেননি বলে জানান খোকন।একরামুলের স্ত্রী জানান, তার স্বামীকে গুলি করার আগে আগে তিনি তার মোবাইলে কল করেছিলেন এবং গুলি করার সময় লাইনটি চালু ছিল। আর এই ঘটনাটি তিনি শুনেছেন।

প্রকাশ করা রেকর্ডে এটা স্পষ্ট যে, কোনো বন্দুকযুদ্ধ হয়নি। একতরফাভাবে গুলি হয়েছে।খোকন লেখেন, ‘বাবা কন্যার অডিও আমাকে সারারাত ঘুমাতে দেয়নি। কাঠগড়ায় র‌্যাব, সত্য-মিথ্যা যাচাই হয়তো পরে হবে। শারীরিক ভাবে একরাম নাই হয়ে গেছে সপ্তাহখানেক।